পত্রিকাটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পশ্চিম তীরে আক্রমণের প্রকৃতি ও মাত্রা বাড়ানো হয়েছে। সেখানে ড্রোন হামলা করা হচ্ছে, ট্যাঙ্ক মোতায়েন করা হয়েছে এবং সেনাবাহিনীর আক্রমণও বেড়েছে।
পার্সটুডে'র তথ্য বলছে, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে দখলদার সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা এবং আক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কারণে পশ্চিম তীর এখন গাজায় পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমস বলছে, গত ১৮ মাস ধরে ইসরাইলি সেনাবাহিনী পশ্চিম তীরের বিরুদ্ধে এমন সব কৌশল এবং অস্ত্র ব্যবহার করছে যা গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে বারবার ব্যবহৃত হয়েছে, কিন্তু বছরের পর বছর ধরে পশ্চিম তীরে ব্যবহার করা হয়নি। এই পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, পশ্চিম তীর আরেকটি গাজায় পরিণত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে।
জাতিসংঘের মানবিকতা বিষয়ক সমন্বয় অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি বাহিনী পশ্চিম তীরে ৯০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানের ফলে ফিলিস্তিনি শহীদের সংখ্যা রেকর্ড সংখ্যক বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি ব্যাপক মাত্রায় ধ্বংস হয়েছে, হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং চলাচলের উপর ব্যাপক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে যা ৩৩ লক্ষেরও বেশি ফিলিস্তিনির জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছে।
ফিলিস্তিনি বিষয়ক বিশ্লেষক ইব্রাহিম দেলালশে বলেছেন, ইসরাইলি মন্ত্রিসভার নীতি এই ধ্বংসযজ্ঞের পক্ষে। ইসরাইলি নেতারা পশ্চিম তীরে আরও আগ্রাসন চালানোর উপর জোর দিচ্ছেন।
পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বৃদ্ধির নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর স্পষ্টভাবে বলেছে, যুদ্ধাঞ্চল না হওয়া সত্ত্বেও পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনীর কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক আইনের বিরোধী।#
Your Comment